ফয়সাল হাবিব সানি, গোপালগঞ্জ: আপাদমস্তক একজন ভ্রমণপিপাসু তরুণ ইমদাদুল হক। এ যাবৎ বেশকিছু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। বাংলাদেশেরও অনেক আকর্ষণীও ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেছেন ইতোমধ্যে। ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতাকেই বাস্তবজীবনে কাজে লাগাতে চায় ইমদাদুল। ভ্রমণের পাশাপাশি শর্টফিল্মেও বেশ ঝোঁক রয়েছে তার। আর তার ভাষ্যমতে, এই ঝোঁকের সূত্রপাত ঘটেছে তার স্মৃৃৃৃতিমুখর শৈশবকালেই।
তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিটুডেস ডট কমকে আরও জানান, চট্টগ্রামেই তার বেড়ে ওঠা। খুব অল্প বয়স থেকেই চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চ নাটক করতেন তিনি৷ এরই ধারাবাহিকতায় তিনি নিজের ফিল্ম প্রোডাকশন ইমদাদুল হক ফিল্মস নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। তিনি এ পর্যন্ত বেশকিছু শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন এবং তাতে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন।
বলা যায়, তিনি পুরোদমে একজন পুরোদস্তুর অভিনেতাও বটে। তাছাড়া, দর্শকমহলেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার নির্মিত শর্টফিল্মগুলো। তার উল্লেখযোগ্য শর্টফিল্মগুলোর মধ্যে রয়েছে “বাবা”, “চাইল্ড লেবার”, “কথা দিলাম”, “সুইসাইড” প্রভৃতি।
আমাদের স্বপ্নবিলাসী মন সর্বদা নতুন নতুন স্বপ্ন ও উদ্ভাবনের নেশায় থাকে উন্মত্ত, উদগ্রীব। ইমদাদুল হকও একজন স্বপ্নবাজ তরুণ। স্বপ্ন দেখে ভ্রমণ করে বিশ্বের খুটিনাটি জ্ঞান অন্বেষণের; একদিন নিজের দেশকে অন্যন্য উচ্চতায় দেখতে চান তিনি৷ তিনি বাস্তবতাকে প্রধান উপজীব্য করে মানুষের জন্য শর্টফিল্ম তৈরি করতে চায়। তার শর্টফিল্মগুলো একদিকে যেমন রূঢ় বাস্তবতার শরীরে কুঠারাঘাত করে, অন্যদিকে তেমনিভাবে জীবনের গভীর বোধের উন্মেষেও প্রতিভাসিত তার বিভিন্ন শর্টফিল্ম।
কল্পনার জগত থেকে বেরিয়ে তিনি তার শর্টফিল্মগুলোতে জীবন সংগ্রামের অতীব চিরন্তন সত্যকেই বারবার যেন ধারণ করে চলেছেন। স্বপ্ন দেখেন, একদিন বাংলাদেশেও অনেক উচ্চমানের শর্টফিল্ম তৈরি হবে আর বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিও হয়ে উঠবে অন্যান্য দেশের জন্য অনুপ্রেরণার প্রধানতম কেন্দ্রবিন্দু। নিজের দেশ মাথা উঁচিয়ে সারা বিশ্বের সামনে একদিন সগৌরবে দাঁড়াবে এমনটাই দেখে যাবার আমৃত্যু প্রত্যাশা ইমদাদুলের। বিডিটুডেস/এএনবি/ ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০