জি, এম মিঠন, নওগাঁ: বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা ও বীরত্বের পুরস্কার পেলেন নওগাঁর রাণীনগরে নিজেদের বুদ্ধিমত্তায় দূর্ঘটনার হাত থেকে ট্রেনসহ হাজারো যাত্রীদের প্রাণ বাঁচানো সেই শিক্ষার্থীরা। (১১ নভেম্বর) সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসক আয়োজিত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে তাদের এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, রানীনগর উপজেলার পশ্চিম গবিন্দপুর গ্রামের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইম হোসেন (১৫), বড়বড়িয়া গ্রামের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিমেল হোসেন (১১), বিজয়কান্দি গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্তর হালদার (১১), একই গ্রামের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিপ্লব হালদার (১৪), পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ইব্রাহিম প্রান্ত (১৩) একই গ্রামের রানীনগর শেরে বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী বাধন হোসেন (২১), রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্স-ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারে ছাত্র আরিফ হোসেন (২১), নওগাঁ সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ইয়া রাকিব হোসেন (২১) ও কৃষক লোকমান হোসেন (৫১)।
এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, ১৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম, পৌর মেয়র নাজমুল হক সনি, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবির উদ্দিন, জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাডঃ সরদার সালঅউদ্দিন মিন্টুসহ বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, সকল উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় নওগাঁর রানীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া নামক স্থানে রেল লাইনের একটি অংশ (পাত) ভেঙ্গে যায়। যা ওই এলাকার একদল ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা দেখতে পায়। তার একটু পরেই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় ছিলো। এর আগেই তারা নিজেদের পড়নে থাকা শার্ট, গামছা, গেঞ্জি যার কাছে যা ছিলো সেটা বাঁশের কঞ্চিতে বেঁধে সংকেত দিয়ে ট্রেনকে থামিয়ে দেয়। তাদের এই তাৎক্ষণিক বুদ্ধির কারণে বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে ট্রেনসহ হাজারো যাত্রীরা রক্ষা পান। বিডিটুডেস/এএনবি/ ১১ নভেম্বর, ২০১৯