জি এম মিঠন, নওগাঁ: নওগাঁয় অজ্ঞাত রোগে (গুলসা জাতীয়) রোগে আক্রান্ত হয়ে টেংরা মাছে মড়ক ধরেছে, যে কারণে মৎস্যচাষীরা হতাশায় ভুগছেন। বিশেষ করে নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার জগদল, ছোট শিবপুর ও ছোট শিবপুর মৌজার পুকুর ঘুরে দেখা গেছে, টেংরা মাছের পিঠে ও লেজের অংশে পচন ধরে খসে পড়ছে।
জগদল গ্রামের মৎস্যচাষী বোরহান উদ্দিন জানান, রোগের নাম আমরা জানিনা স্থানিয় ফিড ব্যবসায়ীদের পরামর্শে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেছি, তাতেও মাছের মড়ক থামাতে পারছিনা। মৎস্য কর্মকর্তাদের আমি চিনিনা এজন্য যোগাযোগ করিনি, তাঁরাও আমাদের খোঁজ নেননি।
তিনি আরও জানান, ৫ লক্ষাধিক টাকায় ৬ বিঘা পুকুরে ১০ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছি, মাছের মৃত্যু হলে আমারও অর্থনৈতিক মৃত্যুু হবে, লোকশান গুণতে হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মত বলেও জানান এ মৎস্য চাষী।
এছাড়াও শিবরামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, সরকারি লিজ নেয়া পুকুরে ১২ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছি ইতোপূর্বে করোনা তান্ডবে মাছের নিম্নমুখী বাজারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জগদল গ্রামের আমজাদ হোসেন, হরিতকিডাঙ্গা গ্রামের বাচ্চ ও আমিনুল জানান, আমরা লিজ নেয়া পুকুরে মাছ চাষ করি, মাছের রোগ থেকে রক্ষা না পেলে আমরা পুজিহারা হবো এবং আমাদের পথে বসতে হবে আমাদের।
মৎস্যচাষীদের বাঁচাতে মৎস্য দপ্তরের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান উপজেলার মৎস্য চাষী সহ সচেতন মহল। মাছের মড়ক বিষয়ে ধামুরহাট উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ২ মাস ট্রেনিংয়ে থাকার পর অতি সম্প্রতি অফিস করছি, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বোরহান অফিসে এসেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, মাছগুলিতে পাখনা পচন রোগ ধরেছে, যার শীতকালীন সময়ে হয়ে থাকে, আমরা সঠিক ঔষুধ লিখে দিয়েছি, তবে রোগের ১৫ দিন দেরি করে আসায় ভুক্তভোগীর ক্ষতির পরিমাণটা একটু বেশি হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিডিটুডেস/এএনবি/ ৩০ নভেম্বর, ২০২০