মংথোয়াই ম্রয় মারম, বান্দরবান: চিম্বুক ও থানছি সড়কে নাইতং পাহাড়ের পাচঁতারা হোটেল ও পর্যটন হলে কোনো সমস্যার নেই জানিয়েছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। পাচঁ তারা হোটেল ও পর্যটন নির্মিত এলাকার ম্রো সম্প্রদায় ১২টি গ্রাম ও বার হাজার জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পুরোপুরি সঠিক নয় দাবি করেন।
রোববার সকালে জেলা পরিষদ সভা কক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা সময় তিনি এই কথা জানাই। তিনি বলেন, চিম্বুক ভ্যালির নাইতং পাহাড় এলাকায় কোনো ম্রো জন বসতি ও কোনো গ্রাম নেই। সেনা বাহিনীর সাথে এক সমঝোতা স্বারক তুলে ধরে তিনি বলেছেন পর্যটন নির্মাণ এলাকার পাহাড় কর্তন না করা, জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের চাকুরী দেয়া সহ মোট ১৮টি শর্ত দিয়ে ৪০ বছরের জন্য সেনা বাহিনীকে জমিটি লীজ দেওয়ার কথা জানান তিনি।
চুক্তি শর্ত পালন মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ২০ একর জমিটিতে নির্মাণ কাজ সম্প্রসারণ করার কোনো আপত্তি নাই জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জেলা পর্যটন শিল্পকে সমম্বিত উন্নয়ন সাধন ও ঢেলে সাজাতে নাইতং পাহাড় এলাকায় থেকে ক্যাবল কার নির্মাণ শুরু হয়ে চিম্বুক ও হ্লাথোয়াই হ্রী হেডম্যান পাড়ার রোয়াংছড়িতে এসে শেষ হবে। এতে স্থানীয়রা বিভিন্ন হাতে তৈরি হস্ত শিল্প বিক্রির লাভের অংশ দিয়ে সংসার চালানো সক্ষমতা বৃদ্ধি হবে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বান্দরবান পাবর্ত্য জেলা পরিষদ। তিনি উল্লেখ করে বলেছেন, উক্ত জমিতে পরিষদের তত্বাবধানে কৃষি প্রযুক্তি ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেখানকার স্থানীয় জনগণের কৃষিভিত্তিক জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম করার লক্ষ্যে স্থানীয় ম্রো নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ মাধ্যমে পরিষদের নামে জমিটি বন্দোবস্তী নেয়ার জন্য প্রক্রিয়া করা হয়।
গত ১ জানুয়ারি ২০১৬ হোটেল নির্মাণ ও পর্যটন তৈরির জন্য বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড সাথে এক সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, নাইতং পাহাড়ের পাঁচ তারা হোটেল নির্মাণ করার জন্য সিকদার গ্রুপের সাথে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কোনো চুক্তি হয়নি ও তাদেরকে লীজও দেয়া হয়নি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, সিকদার গ্রুপের অবৈধভাবে নাইতং পাহাড় জুমিয়াদের চাষকৃত ১৫ শত একর জমির দখল করে পাচঁ তারা হোটেল ও ক্যাবল কার নির্মাণ উদ্যোগেই প্রতিবাদ হিসেবে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর গত ৭ অক্টোবর হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক নিকট স্বারক লিপি দেন।
পর পর এলাকায় শত শত ম্রো সম্প্রদায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকৃতিক মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ করে এবং দেশের সমতল লোকজন সহ বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনগুলোর জুমিয়াদের জমির দখল করে পাঁচ তারা হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ ও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশিস্ট জনরাও। বিডিটুডেস/এএনবি/ ২২ নভেম্বর, ২০২০