জি, এম মিঠন, নওগাঁ: নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার কারণে অন্তসত্তা হয়ে পড়েছেন এক বাকপ্রতিবন্দী নারী (৩২)। ঘটনাটি গোপনে ধামাচাপা দেয়ার অনেক অপ-চেষ্টার পর থানায় মামলা দায়ের। রাতেই অভিযুক্ত ধর্ষক যুবক মমিনুল ইসলাম (২৫) কে গ্রেফতার পূর্বক আজ (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মমিনুল ইসলাম নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বানিসর উত্তরপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্তা বাকপ্রতিবন্দী ঔ নারী তার ৬ বছরের একটি শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার বাবার বাড়ির প্রতিবেশী যুবক মমিনুল ইসলাম বিভিন্ন কাজের অজুহাতে প্রায় বাসায় ডেকে নিয়ে যেতেন। এরি এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাকপ্রতিবন্দী ঔ নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এভাবে চলার এক পর্যায়ে বাকপ্রতিবন্দী ঔ নারী অন্তসত্তা হয়ে পড়েন।
ঐ নারীর মা জানান, কয়েকদিন ধরে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। মেয়ে কথা বলতে না পারায় গত ১০ নভেম্বর মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। পরিক্ষার পর ডাক্তার জানান, আমার মেয়ে ৭ মাসের অন্তসত্তা। এরপর মেয়েকে বিভিন্নভাবে জিঞ্জাসাবাদ করলে আমার মেয়ে ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে প্রতিবেশী যুবক মমিনুল ইসলাম কে দেখিয়ে দেয়।
নারীর মা আরো বলেন, মমিনুল ইসলাম প্রায়ই আমার মেয়েকে কাজের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যেত এবং মেয়ের আকার ইঙ্গিতে যা বুঝাযাচ্ছে, যুবক মমিনুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানিয় একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপাদিতে নিস্পত্তি করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে ব্যর্থ হলে মমিনুলকে আসামী করে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করেছি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, বাকপ্রতিবন্দী ঐ নারীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করার পরই রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জরীত যুবক মমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ভিকটিম ঐ নারীকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত যুবককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিডিটুডেস/এএনবি/ ১৪ নভেম্বর, ২০১৯